পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া (তৃতীয় টেস্ট – ৫ম দিন)
নাথান লায়নের ঘূর্ণি আর প্যাট কামিন্সের পেস আক্রমণে লাহোর টেস্টে ১১৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ৩৫১ রানে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৩৫ রানে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজটি ১-০ তে নিজেদের করে নিল অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ দিন শেষ সেশনে ২৭ ওভার খেলে অবিছিন্ন জুটিতে ৭৩ রান যোগ করেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। ফলে ম্যাচের ৫ম ও শেষ দিন স্বাগতিকদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯০ ওভারে ২৭৮ রান। কিন্তু পঞ্চম দিনের চতুর্থ ওভারেই ক্যামেরন গ্রিনের বলে দলীয় ৭৭ রানে সাজঘরে ফিরেন শফিক (২৭)। দলীয় একশ পার হতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আর এক অভিজ্ঞ ব্যাটার আজহার আলী (১৭)।
এরপর ইনিংসের ৬২তম ওভারে ১৯৯ বলে ৭০ রান করে আউট হন ইমাম। এরপর ফাওয়াদ আলম (১১) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানও (০) সাজঘরে ফিরে যান। ফলে ১৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে স্পিনার সাজিদ খানের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম।
পরপর দুই ওভারে বাবর (৫৫) ও সাজিদকে (২১) ফেরান নাথান লায়ন ও মিচেল স্টার্ক। তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার জয়। পরে হাসান আলি (১৩) একটি করে চার-ছয় মেরে পরাজয়ের ব্যবধান শুধু কমান। ইনিংসের ৯৩তম ওভারের প্রথম বলে নাসিম শাহকে (১) বোল্ড করে ম্যাচ শেষ করেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান লায়ন সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া কামিন্স ৩টি এবং স্টার্ক ও গ্রিন ১টি করে উইকেট তুলে নেন। দুই ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং দুই সেঞ্চুরিসহ সিরিজে মোট ৪৯৬ রান করে প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন উসমান খাজা। আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুরু হবে দুই দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
স্কোরবোর্ড
অস্ট্রেলিয়া (১ম ইনিংস) – ৩৯১/১০ (১৩৩.৩)
পাকিস্তান (১ম ইনিংস) – ২৬৮/১০ (১১৬.৪)
অস্ট্রেলিয়া (২য় ইনিংস) – ২২৭/৩ (ডি) (৬০.০)
পাকিস্তান (২য় ইনিংস) – ২৩৫/১০ (৯২.১)
ফলাফল – অস্ট্রেলিয়া ১১৫ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – প্যাট কামিন্স
প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ – উসমান খাজা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড (তৃতীয় টেস্ট – ২য় দিন)
গ্রেনাডা টেস্টে জশুয়া দা সিলভার দৃঢ় ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩২ রান। তারা এখন ইংল্যান্ডের চেয়ে ২৮ রানে এগিয়ে রয়েছে।
১ম দিন ইংল্যান্ডকে ২০৪ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় দিন নিজেদের ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন ক্রেগ ব্রাথওয়েট (১৭) ও জন ক্যাম্পবেল (৩৫)। এই জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস।
সেখান থেকে দলীয় ১০০ হওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে উন্ডিজ শিবিরে মূল ধাক্কা দেন ক্রিস ওকস। রানের খাতাই খুলতে পারেননি জেসন হোল্ডার। বাকিরাও বড় কিছু করতে ব্যর্থ হন।
পরে সপ্তম উইকেটে কাইল মায়ার্স ও জশুয়া মিলে যোগ করেন ৩২ রান। মায়ার্স সাজঘরে ফেরেন ২৮ রান করে। এরপর আলজারি জোসেফের সঙ্গে জশুয়া ৪৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন। সেখানে জোসেফের অবদান ২৮ রান।
দলীয় ১৭৭ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর শেষ বিকেলে আর বিপদ ঘটতে দেননি জশুয়া ও কেমার রোচ। দুজন মিলে ১৭.১ ওভারে ৫৫ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি হাঁকিয়ে জশুয়া ১৫২ বলে ৫৪ এবং রোচ ৬৩ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
স্কোরবোর্ড
ইংল্যান্ড (১ম ইনিংস) – ২০৪/১০ (৮৯.৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) – ২৩২/৮ (৮৬.০)