পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া (তৃতীয় টেস্ট – ৪র্থ দিন)
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৩ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। ফলে পঞ্চম দিনে দুই দলেরই জেতার সমান সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ২৭৮ রান, অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১০টি উইকেট।
৪র্থ দিনের শুরুতে বিনা উইকেটে ১১ রান নিয়ে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। আগের দিনের অপরাজিত দুই ওপেনার উসমান খাজা (৭) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৪) দারুণ খেলতে থাকেন, উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেন ৯৬ রান। ব্যক্তিগত ৫১ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন ওয়ার্নার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মারনাস লাবুশেনকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন খাজা। তবে নৌমান আলীর শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হন লাবুশেন।
সুবিধা করতে পারেননি স্টিভ স্মিথও। ১৭ রান করে নাসিম শাহ এর শিকার হন তিনি। তবে অটল থাকেন খাজা, তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বাদশ শতক। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর যখন ৩ উইকেটে ২২৭, তখনই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। খাজা ১৭৮ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ট্রাভিস হেড অপরাজিত থাকেন ১১ রানে।
৩৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষ ২৭ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ইমাম-উল-হক। ইমাম ৯৩ বলে ৪২ ও শফিক ৬৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
উল্লেখ্য যে, লাহোরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার ইতিহাস স্বাগতিকদের বিপক্ষে। এই মাঠে সর্বোচ্চ ২০৮ রান তাড়া করার রেকর্ড রয়েছে। তাছাড়া কোনো দল ১১০ ওভারের বেশি টিকতেও পারেনি। এর আগে দুদলের মধ্যকার প্রথম দুটি টেস্ট ম্যাচই ড্র হয়েছে। তাই এই টেস্টে বিজয়ীদের হাতেই উঠবে ‘বেনো কাদির ট্রফি’।
স্কোরবোর্ড
অস্ট্রেলিয়া (১ম ইনিংস) – ৩৯১/১০ (১৩৩.৩)
পাকিস্তান (১ম ইনিংস) – ২৬৮/১০ (১১৬.৪)
অস্ট্রেলিয়া (২য় ইনিংস) – ২২৭/৩ (ডি) (৬০.০)
পাকিস্তান (২য় ইনিংস) – ৭৩/০ (২৭.০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড (তৃতীয় টেস্ট – ১ম দিন)
গ্রেনাডা টেস্টে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানের পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড। ৮৯.৪ ওভার খেলে তারা অলআউট হলে প্রথম দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
সেন্ট জর্জেসের ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ধীরগতিতে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি আর অ্যালেক্স লিস। ২৩ রান তুলতে তারা কাটিয়ে দেন ১২.২ ওভার।
কিন্তু নতুন বল ভালোভাবে সামলেও খুব একটা ফল হয়নি। ক্যারিবীয় বোলারদের তোপে একটা সময় কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। একে একে ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরেন ক্রলি (৭), জো রুট (০), ড্যান লরেন্স (৮), বেন স্টোকস (২), জনি বেয়ারস্টো (০), বেন ফোকসরা (৭)।
লিস অনেকটা সময় উইকেট ধরে রাখলেও ৯৭ বলে ৩১ করে থামতে হয় তাকেও। ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারায় ইংলিশরা। এরপর ৯০ রানে ৮টি, ১১৪ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। সেখান থেকে দলকে বাঁচালেন জ্যাক লিচ আর সাকিব মাহমুদ। শেষ উইকেট জুটিতে অবিশ্বাস্যভাবে ৯০ রান যোগ করেন তারা।
এর আগে ক্রিস ওকস ২৫ করে দলকে ১০০ পার করে দেন কোনোমতে। তারপরই সাকিব আর লিচের অবিশ্বাস্য এক জুটি। শেষ পর্যন্ত হাফসেঞ্চুরির একদম দোরগোড়ায় এসে সাকিব (৪৯) বোল্ড হয়ে যান। ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন লিচ। ইংলিশরা থামে ২০৪ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস ৪০ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন। দুটি করে উইকেট তুলে নেন কেমার রোচ, কাইল মায়ার্স এবং আলজেরি জোসেফ।
স্কোরবোর্ড
ইংল্যান্ড (১ম ইনিংস) – ২০৪/১০ (৮৯.৪)