ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মধ্যকার ৩ ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি গতকাল মাঠে গড়িয়েছে। ম্যাচটির আকর্ষণীয় ঘটনা সম্পর্কে জানতে নিবন্ধটি একটি ঝলক দেখি।
ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান (৩য় – ওয়ানডে)
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বার্মিংহ্যামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের দেওয়া ৩৩২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজমের ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়েছিল পাকিস্তান। শুরুতে দলীয় ২১ রানে ফাখর জামান (৬) সাজঘরে ফিরে গেলে সামান্য বিপদে পড়ে সফরকারীরা। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে ইমাম উল হক আর বাবর আজমের ৯২ রানের জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ৭ বাউন্ডারিতে, ৭৩ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ইনিংসের সবচেয়ে বড় ১৭৯ রানের জুটি গড়েন বাবর। ৪ চারের সাহায্যে, ৫৮ বলে ৭৪ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। এরপর অবশ্য দ্রুত রান তুলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে সফরকারিরা। ২৬ রানে শেষ ৬ উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের।
ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে, ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায়, ১৩৯ বলে ১৫৮ রান করে ব্রাইডন কারসের ডেলিভারিতে টপএজ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন বাবর। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ব্রাইডন কারস নিয়েছেন ৫ উইকেট (৫-৬১, ১০ ওভার)। ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব মাহমুদ।
রান তাড়ায় নেমে বরাবরের মতো ঝড়ো সূচনা করে ইংল্যান্ড। শুরুতেই হাসান আলির শিকার হয়ে ডেভিড মালান (০) সাজঘরে ফিরলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ ছিল না স্বাগতিকদের। ফিল সল্ট আর জ্যাক ক্রাওলি দ্রুত খেলে ৬ ওভারেই দলকে পৌঁছে দেন ৫৩ রানে। এরপর সল্ট (৩৭) ও ক্রাওলি (৩৯), পেসার হারিস রউফের শিকার হয়ে উইকেট ছাড়েন।
দলীয় ১৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। কিন্তু তাতে ইংলিশদের আগ্রাসী মনোভাব আটকাতে পারেনি পাকিস্তান। জেমস ভিনস আর লুইস গ্রেগরি ষষ্ঠ উইকেটে ১২৯ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি গড়েন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে জয়ের নায়ক হয়ে যান ভিনস। ১১ বাউন্ডারিতে, ৯৫ বলে ১০২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান যখন হারিস রউফের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন, ইংলিশদের তখন ৪৩ বলে দরকার মাত্র ৩৮।
এরপর ৬ চার ও ৩ ছক্কায়, ৬৯ বলে ৭৭ রান করা গ্রেগরিকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেও তাতে আর লাভ হয়নি সফরকারীদের। ক্রেগ ওভারটন (১৮) আর ব্রাইডন কারসে (১২) মিলে হেসেখেলেই বাকি কাজটা সেরেছেন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বাধিক ৪টি উইকেট শিকার করেছেন হারিস রউফ।
দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। সঙ্গে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে পেল মূল্যবান ৩০ পয়েন্ট।
স্কোরবোর্ড:
ইংল্যান্ড – ৩৩১/৯ (৫০.০)
পাকিস্তান – ৩৩২/৭ (৪৮.০)
ফলাফল – পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ – জেমস ভিনস
প্লেয়ার অফ দি সিরিজ – সাকিব মাহমুদ
হতাশাজনক ওয়ানডে সিরিজের পর, ১৬ জুলাই থেকে পাকিস্তান ৩ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এটি সম্পর্কে আরও জানতে Baji –র সাথেই থাকুন!