বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার একমাত্র টেস্টের ২য়-দিন এবং ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি গতকাল মাঠে নেমেছে। দিনের ম্যাচগুলোর আকর্ষণীয় ঘটনা সম্পর্কে জানতে নিবন্ধটি একটি ঝলক দেখে নিই।
জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশ (একমাত্র টেস্ট – ২য় দিন)
১ম ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ৪৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দিন শেষে ১১৪ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান পিছিয়ে রয়েছে তারা। আর তাদের হাতে রয়েছে আরো ৯ উইকেট। অপরাজিত থেকে দিন শেষ করলেন ব্রেন্ডন টেলর (৩৭) ও তাকুজওয়ানশে কাইতানো (৩৩)।
প্রথম দিন শেষে ২৯৪ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ, ক্রিজে থাকা মাহমুদউল্লাহ (৫৪*) ও তাসকিন আহমেদকে (১৩*) নিয়ে দ্বিতীয় দিন সকালে মাঠে নামে। ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত এক রেকর্ডের জন্ম দিলেন তারা। নবম উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ এবং ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন।
২য় দিন মাঠে নেমেই স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মতোই মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাসকিন। ৬৯ বলে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। শেষে ১১ চারে, ১৩৪ বলে ৭৫ রান করে মিল্টন শুম্বার শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাসকিন। উইকেটের অপরপ্রান্তে ১৭টি চার ও একটি ছক্কায়, ২৭৮ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। টাইগারদের শেষ ব্যাসম্যান হিসেবে এবাদত হোসেন শূন্য রানে ব্লেসিং মুজারবানির বলে বিদায় নেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এছাড়া ডোনাল্ড তিরিপানো ও ভিক্টর নিয়াউচি ২টি এবং মিল্টন শুম্বা ও রিচার্ড এনগারাভা ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের রান পাহাড়ের জবাবে ভালো শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। শেষে দলটির উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৬১ রানে ওপেনার মিল্টন শুম্বাকে (৪১) এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। ভালো ব্যাটিং করার পর বোলিংয়েও আগুন ঝরাচ্ছেন তরুণ তারকা পেসার তাসকিন। ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ১৩ রান। যার মধ্যে ছয়টিই মেডেন ওভার দিয়েছেন।
স্কোরবোর্ড:
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) – ৪৬৮/১০ (১২৬.০)
জিম্বাবুয়ে (১ম ইনিংস) – ১১৪/১ (৪১.০)
ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান (১ম – ওয়ানডে)
সম্পূর্ণ নতুন একটি একাদশ নিয়ে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সে সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই জয় পেলেন বেন স্টোকস।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিল ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই সাকিব মাহমুদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে মাত্র ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। তার মধ্যে ওপেনার ইমাম-উল হক শূন্য রানেই প্রথম বলে আউট হন।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই বাবর আজমকেও শূন্য রানে ফেরান সাকিব। আর মাত্র ১৩ রান করে সাকিবের বলেই আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলের রান তখন ১৭। ইংল্যান্ড বোলারদের দাপটে পাকিস্তানের ইনিংস ৩৫.২ ওভারে ১৪১ রানে গুটিয়ে যায়। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন সাকিব। ক্রেইগ ওভারটন এবং ম্যাট পারকিনসন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ১৪২ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে মাত্র ২১.৫ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। ডেভিড মালান ৬৯ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। জ্যাক ক্রাউলি ৫০ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। শাহীন আফ্রিদির বলে ৭ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন অভিষিক্ত ফিল সল্ট। এই ম্যাচে জয়ী হয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
স্কোরবোর্ড:
পাকিস্তান – ১৪১/১০ (৩৫.২)
ইংল্যান্ড – ১৪২/১ (২১.৫)
ফলাফল – ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ – সাকিব মাহমুদ
ব্যাট ও বলের কিছু দুর্দান্ত লড়াই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চলছে। ক্রিকেটের আরও সর্বশেষ আপডেটের জন্য Baji –র সাথেই থাকুন!