২০১১ সালে দিল্লি ডেয়ার ড্যাভিলসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলা শুরু করেন দক্ষিন আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। যদিও শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি তার। কিন্তু পরবর্তীতে যে ভিলিয়ার্সকে আইপিএল দেখেছে, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বাইশ গজে বোলারদের জন্য ত্রাস হয়ে ওঠেন, এই সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। এবার তিনিই বললেন, ক্রিকেটারদের বদলে দেয় আইপিএল।
আইপিএলের দেখাদেখি বিশ্বের অনেক দেশেই ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ চালু হয়েছে। এবার সে পথে হাঁটতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। ২০২৩ সাল থেকে আইপিএলের আদলে শুরু হতে যাচ্ছে এসএটি২০ লিগ। নিজ দেশের সেই লিগ নিয়ে এসএ ক্রিকেট ম্যাগাজিনকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন ভিলিয়ার্স। যেখানে কথা বলতে গিয়ে আইপিএলের প্রসঙ্গ টানেন মারকুটে এই ক্রিকেটার।
আইপিএল অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিলিয়ার্স মনে করেন, বড় তারকাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে পারাটা বিশাল প্রাপ্তি। তিনি বলেন, ” আইপিএল ক্রিকেটারদের প্রতিভা বিকাশের দারুন মঞ্চ। সেখানে বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা আমার জন্য এবং অন্যান্য ক্রিকেটারদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। ওটা ছিলো দারুন অভিজ্ঞতা। আইপিএলে খেলাটা আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে। ভারতের মানুষ ক্রিকেট পাগল। সেখানের প্রতিটি মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে। ভারত এবং বিদেশি খেলোয়াড়দেরও সবাই সমান সমর্থন দেন। দারুন ব্যাপার “।
আইপিএলে খেলার সময় সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য সময়ের মধ্যে গ্লেন ম্যাকগ্রার সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা বলেছেন ভিলিয়ার্স। এমনকি কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলতে পারাকে বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তিনি। ম্যাকগ্রার প্রশংসা করে ভিলিয়ার্স বলেন, ” তিনি (ম্যাকগ্রা) চমৎকার মানুষ ছিলেন। ড্রেসিংরুমে আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছি। একসাথে বিয়ার খাওয়ার মতো সময়ও গেছে। “
উল্লেখ্য, এখন আর আইপিএলে খেলেন না ভিলিয়ার্স। ২০২১ সালে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার পর ব্যাট – প্যাড তুলে রেখেছেন সাবেক এই প্রোটিয়া। অবসরের যাওয়ার আগে নিজেকে আইপিএল ইতিহাসের সেরাদের কাতারে নিয়ে গেছেন তিনি। ১৮৪ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারে মোট ৫১৬২ রান করেছেন ভিলিয়ার্স। ১৫১.৬৮ স্ট্রাইকরেটে তিনি রান তুলেছেন ৩৯.৭০ গড়ে। গুঞ্জন রয়েছে কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে ভিলিয়ার্সকে।