শেষ হলো আরো একটি বছর, ক্রিকেটের জন্যও মৌসুম শেষ। এখন চলছে খেলোয়াড় এবং দলগুলোর পারফরম্যান্সের বিচার বিশ্লেষণ। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো তৈরি করছে, তিন ফরম্যাটেই বছরের সেরা একাদশ। এবার সেই তালিকার ওয়ানডে একাদশে সুযোগ পেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অবশ্য এই অলরাউন্ডার ছাড়া বাংলাদেশের আর কেউই জায়গা পাননি।
যোগ্য হিসেবেই বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিয়েছেন মিরাজ। কারণ, সাদা বলের ক্রিকেটে স্বপ্নের মতো একটি বছর কাটিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ওয়ানডেতে ব্যাটে – বলে উজ্জ্বল মিরাজ। এবছর ১৫ ম্যাচ খেলে লোয়ার মিডল অর্ডারে করেছেন ৩৩০ রান। যার ব্যাটিং গড় ৬৬! এছাড়া অফস্পিনের ঘুর্ণিতে ২৪টি উইকেটও শিকার করেছেন। পেয়েছেন একটি শতকের দেখা।
ক্রিকইনফোর এই একাদশে অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে। ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড এবং ভারতের তরুণ ব্যাটসম্যান শুভমান গিল। চার এবং পাঁচ নম্বরে থাকছেন আরেক ভারতীয় তরুণ শ্রেয়াস আয়ার এবং নিউজিল্যান্ডের টম লাথাম। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে রাখা হয়েছে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাকেও।
রাজার সঙ্গে মিরাজের জায়গাও অফস্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে। এছাড়া ক্রিকইনফোর এই ওয়ানডে একাদশে রাখা হয়েছে তিনজন বিশেষজ্ঞ পেসার এবং একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। সেই একজনই আবার লেগস্পিনার। তারা হলেন – ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলজারি জোসেফ, ভারতের মোহাম্মদ সিরাজ, নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা।
এদিকে ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে একজন সুযোগ পেলেও, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলে নেই কোনো বাংলাদেশি। এ বছরটায় খুব একটা ভালোও করতে পারেনি টাইগাররা। যদিও জায়গা পাওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন লিটন কুমার দাস। তিন ফরম্যাটেই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। তবে অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ভীড়ে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি তিনি।