ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্লে অফ ম্যাচে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়েছেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যান রজত পাতিদার। মূলত তার ব্যাটে চড়েই জয় পেয়েছে বিরাট কোহলিরা। এদিন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। ম্যাচ জয়ের পর মাঠেই পাতিদারের সাক্ষাৎকার নিলেন কোহলি।
তখন কোহলি বলেন, ‘পাতিদার সাজঘরে ফেরার পরে ওকে বলেছিলাম, আমি এত বছর ধরে চাপের মধ্যে অনেক ভালো ইনিংস দেখেছি। কিন্তু পাতিদারের মতো ইনিংস কাউকে খেলতে দেখিনি। এত বড় ম্যাচে এই শতরান সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। জাতীয় দলে না খেলা প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আইপিএল প্লে অফে সেঞ্চুরি করল পাতিদার।’
প্লে অফের লড়াইয়ে যে মানসিক চাপ কাজ করে তা বড় ক্রিকেটারদের পক্ষেও সবসময় সামলানো যায় না বলে জানিয়েছেন কোহলি। সেখানে পাতিদার যে ইনিংস খেলেছে তার প্রভাব অনেক বেশি বলে মনে করছেন তিনি। কোহলি বলেছেন, ‘আমি নিজেই খুব চিন্তায় ছিলাম। কারণ এর আগে অনেক ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি থেকে জিতে মাঠ ছাড়তে পারিনি। তাই পাতিদারের ইনিংস আরো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওর ইনিংস সবাইকে শিক্ষা দিয়ে গেল যে, নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে ও পরিশ্রম করলে সবাই সফল হতে পারে।’
তবে শুধু নিজের কথাই নয়, ম্যাচসেরা পাতিদারকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নও করেন কোহলি। ডু প্লেসিস আউট হওয়ার পর ব্যাটিং করতে নামার সময় মানসিক অবস্থা কেমন ছিল জানতে চাইলে পাতিদার বলেছেন, ‘চাপ তো ছিলই। কিন্তু নিজের উপর ভরশা ছিল। তাই প্রথম দিকে কিছু বলে রান না পেলেও ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলাম। জানতাম, টিকে থাকলে রান শিষ দিকে বড় শট খেলতে সুবিধা হবে। এই প্রথম আমি শেষ ওভার পর্যন্ত খেললাম। তাই শেষদিকে অনেক দ্রুত রান করতে পেরেছি।’
২০৭ রান করেও শেষদিকে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কোহলি এবং পাতিদার। পাতিদার বলেছেন, ‘রাহুল যতক্ষণ ক্রিজে ছিল, ততক্ষণ কিছুটা চাপ ছিল। খালি প্রার্থনা করছিলাম ও যাতে আউট হয়ে যায়। রাহুল আউট হওয়ার পর অবশ্য চাপ অনেকটা কমে যায়।’ বোলারদের প্রশংসা করে কোহলি বলেছেন, ‘বোলাররা স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পেরেছে। শেষ পর্যন্ত জিতেছি, সেটাই বড় কথা। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ যাব। শুক্রবার মাঠে নামতে (রাজস্থান রয়েলসের বিপক্ষে) মুখিয়ে আছি। আশা করছি আরো দুটি ম্যাচ জিততে পারব।’