দিল্লি টেস্টে প্রথম ইনিংসে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ভালোই খেলছিলেন কোহলি। কিন্তু ৪৪ রানের মাথায় হঠাৎ এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। তবে কোহলির মনে হয়েছিল তিনি আউট হননি। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউও নেন তিনি। কিন্তু রিভিউতে সেটা স্পষ্ট না হওয়ায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। আর এই আউট নিয়ে এখন শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর সেই বিতর্ক উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের মধ্যে।
দিল্লি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তখন ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। কুনেম্যানের একটি বল এসে কোহলির প্যাডে লাগে। কিন্তু সেই সময় তার ব্যাটও একজায়গায় ছিল। তাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না যে বল আগে ব্যাট নাকি প্যাডে লেগেছে। সেই সময় আম্পায়ার যদি মনে করতেন বল আগে ব্যাটে লেগেছে তাহলে আউট দিতেন না কোহলিকে। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার মনে করলেন বল আগে প্যাডে লেগেছে।অন্যদিকে তৃতীয় আম্পায়ার নিশ্চিত হতে না পারায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হয় কোহলিকে।
এদিকে আম্পায়ার যখন আউট দেন তখন রিভিউ নিয়েছিলেন কোহলি। ক্রিজের অপর পাশে থাকা ব্যাটসম্যানকে ব্যাটও দেখান তিনি। তার মনে হয়েছিল বল আগে ব্যাটে লেগেছে। তাই আউট এর সিদ্ধান্তের পর কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি কোহলি। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভারতের রান মেশিন । সাজঘরে ফিরেও বার বার আউটের রিভিউ দেখছিলেন কোহলি।
রিভিউতে দেখা যায়, বল কোহলির ব্যাট ও প্যাডে একসঙ্গে লেগেছে। অর্থাৎ বলটা ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে চলে গেছে। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল উইকেটের কোণায় গিয়ে লেগেছে। আর এসব ক্ষেত্রে সাধারণত বেনিফিট অফ ডাউট দেওয়া হয় ব্যাটসম্যানকে। আর এমনটা হলে কোহলি ক্রিজে থাকতে পারতেন। তিনি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাতে ভারতের বড় রান তোলার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকাও রাখতে পারতেন। কিন্তু আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। ফলে মাঠের ২২ গজে বিতর্ক শুরু হয় এই আউটকে কেন্দ্র করে।
এদিকে কোহলি বিতর্কিতভাবে আউট হওয়ার পর তার আউট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ধারাভাষ্যকাররাও। তাদের প্রশ্ন, আম্পায়ারের মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে তখনই তারা কেন আউট দিলো? ধারাভাষ্যকারদের মতে, আম্পায়ারদের উচিত ছিলো, সরাসরি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়া। তখন সেটা দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। কোহলির আউট নিয়ে তাই বিতর্ক বেড়েই চলছে। ঘরের মাঠে এমন কোহলিকে এমন বিতর্কিত আউট দেওয়ায় আম্পায়ারের তীব্র নিন্দা করছে নেটিজেনদের বড় একটা অংশ।