রোহিত – কোহলি জুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কম চর্চা হয় না। দু ‘ জনের সম্পর্কে চিড় রয়েছে এমন গুঞ্জন ও প্রায়েই শোনা যায়। যদিও দুই জনের দাবি তাদের মধ্যে সম্পর্কটক দারুন, নেই কোন ঠান্ডা মাথার লড়াই। সম্প্রতি রোহিতের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্ট জিতেছে ভারত। তবে রোহিত মনে করেন অধিনায়ক হিসেবে তার এমন সাফল্যের কারণ বিরাট কোহলি। যে কারণে জেতার সম্পূর্ণ কৃতিত্বই সতীর্থ কোহলিকে দিলেন রোহিত।
অধিনায়ক হিসেবে বরাবরই মাঠে আগ্রাসন দেখাতেন কোহলি। প্রতিপক্ষের উপর কিভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হবে তা খুব ভালো করেই বুঝতেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক। আর তখন থেকেই কোহলিকে দেখে শেখা শুরু করেন রোহিত। যা অধিনায়ক হওয়ার পর এখন কাজে লাগাচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ” কোহলির নেতৃত্বে যখন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে খেলতাম তখন ওকে দেখতাম। সবকিছু বোঝার চেষ্টা করতাম। কি করছে, তার ওপর নজর রাখার চেষ্টা করতাম। উইকেট না পেলেও কোহলি কখনো হতাশ হতো না। প্রতিপক্ষকে তখন আরও বেশি কিভাবে চাপে রাখা যায় সেই চেষ্টাই করত। এমন চাপে ফেলত যাতে ওরা ভুল করতে বাধ্য হয়। আমি ওকে দেখে এগুলো শেখার চেষ্টা করেছি, সব কিছু আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছি। ”
রোহিতের দাবি, কোহলিকে দেখে শেখা সেই ব্যাপারগুলো এখন কাজে লাগাচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক। রোহিত আরো বলেন, ” এখন আমি এই কাজগুলোই করি, ম্যাচের ফলাফল অনুকূলে না থাকলেও হতাশ হই না। উইকেট না এলেও উত্তেজিত হই না, শান্ত থাকার চেষ্টা করি। কারণ, এটা তো সত্য যে প্রতি বলে কখনোই উইকেট পাওয়া যাবে না। তার জন্য এখন অপেক্ষা করার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষের উপর আরও বেশি চাপ তৈরি করার চেষ্টা করি। আবার দ্রুত উইকেট পড়লেও উত্তেজিত হই না। তখন দলের সবাইকে বোঝাই যে এমনটা কিন্তু বার বার হবে না। তাই আমাদের আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে, নিজেদেরকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে। ”
ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভারতের পিচ নিয়ে সমালোচনা শুরু করে অস্ট্রেলিয়ানরা। তবে ব্যাট হাতে রোহিতরা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে স্পিন সহায়ক পিচেও ক্রিজে টিকে থাকা যায়, শতরান করা যায়। উইকেট নিয়ে রোহিত বলেন, ” আমাদের দুই দলের জন্যই কিন্তু একই কন্ডিশন ছিল। এমন না যে আমরা বাড়তি সুবিধা পেয়েছি। আমাদের বোলাররা এটা জানে কিভাবে উইকেট নিতে হবে। ওরা সব সময় প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে রাখতে পেরেছে। আর ব্যাট হাতে ক্রিজে টিকে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে নেমে সেই সুবিধাটা আদায় করে নিতে হয়। এটা কেউ দিয়ে দেবে না। “
উল্লেখ্য, ১ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ভারত – অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট হবে ধর্মশালায়। সবশেষ টেস্টটি হবে আহমেদাবাদে ৯ থেকে ১৩ মার্চ। এদিকে ভারতের মাটিতে দীর্ঘদিন জয়ের দেখা নেই অজিদের। চলতি মৌসুমে এসেও প্রথম দুই টেস্টেই বড়সড় হার। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাড়াতে পারে কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়।