কোচেরা অনেক পরিকল্পনাই করেন, খেলোয়াড়দের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করবেন, বোলিং নিয়ে কাজ করবেন, ধরে ধরে ক্রিকেটারদের সমস্যা গুলো নিয়ে কাজ করবেন। তবে টানা খেলার ব্যাস্ততায় আর সেসব নিয়ে কাজ করা হচ্ছে না তাদের। বাস্তবায়িত হচ্ছে না তাদের পরিকল্পনা।
তবে বড় সমস্যা হচ্ছে অনেক সময়ই তারা তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। এতে বিভ্রান্তির জন্ম নিচ্ছে, আর বোর্ডের ধারণা হচ্ছে হয়ত কোচদের কোন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই!!
কিন্তু এভাবে তো আর জাতীয় দলের কার্যক্রম চলতে পারে না। তাই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিম্বাবুয়ে সফর শেষে কোচিং স্টাফদের সাথে এব্যাপারে বসবে। ২০২৩ বিশ্বকাপের পরিকল্পনা জানতে চাইবে।এ ব্যাপারে বিসিবির উর্ধতন কর্মকর্তা জালাল ইউনুস বলেন “আমরা জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর তাদের সাথে বসবো এবং তাদের পরিকল্পনা জানতে চাইব।এরপর সেভাবেই অগ্রসর হব।“
প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য বোর্ডকে তার কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তবে ক্রিকেটারদের খেলা, অনুশীলন আর বিশ্রামের কথা বিবেচনা করে তা আর এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে না এবং এ ব্যাপারে কিছু খোলাসা করারও প্রয়োজন বোধ করছেন না বলে জানান তিনি।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরে ৫ দিনের মধ্যে প্লেয়াররা জিম্বাবুয়ে তে যাচ্ছে। আবার এই সিরিজ শেষ করে দেশে আসার ১২ দিনের মধ্যেই তিন জাতি টুর্নামেন্ট খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্যেশ্যে রওনা দিবে টিম বাংলাদেশ। এর পর পরই বিশ্বকাপের জন্য মাঠে নামবে তারা।
এদিকে গেল সপ্তাহে আইসিসির সভায় ২০২৪–২০২৭ পর্যন্ত খেলার শিডিউল দেয়া হয়েছে। এতে খেলাও বাড়ানো হয়েছে বাংলাদেশের। এ সময়ে তারা ৩৮–৪০ টি টেস্ট ও ৭০ টি করে ওয়ানডে ও টি২০ ম্যাচ খেলবে।
জালাল ইউনুস বলেন আগে আমরা বেশি খেলা পাবার জন্য চেস্টা করতাম এখন তা নিজে থেকেই বাড়ছে। এটা আমাদের জন্য পজিটিভ। তবে ক্রিকেটারদের কথাও ভাবছে বিসিবি। সামনে আমাদের প্রচুর খেলা আছে তাই তাদের বিশ্রামের ব্যাপারেও আমরা ভাবছি। আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করে অগ্রসর হচ্ছি বলে জানান ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান।