আইপিএল ২০২২ – ম্যাচ ৮ (কেকেআর বনাম পিবিকেএস )
বৃহস্পতিবার আইপিএল ২০২২ এর ৮ম ম্যাচে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের (পিবিকেএস) বিপক্ষে আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে ৩৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের এক বিশাল জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে কেকেআর এর বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৮.২ ওভারে ১৩৭ রান তুলতেই অল-আউট হয়ে যায় পিবিকেএস।
পিবিকেএস এর পক্ষে উইকেট রক্ষক ব্যাটার ভানুকা রাজাপক্ষ ৩ চার ও ৩ ছক্কায়, ৯ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ১৬ বলে ২৫ এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ১৬ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন। কেকেআর এর হয়ে উমেশ যাদব ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া টিম সাউদি ২টি এবং রাসেল, সুনীল নারাইন ও শিবম মাভি ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
১৩৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ ওভার শেষে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় কেকেআর। সেখান থেকে পরবর্তী ৭.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় কেকেআর। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ৪৫ বলে ৯০ রান সংগ্রহ করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার স্যাম বিলিংস ও অল-রাউন্ডার রাসেল।
যেখানে ২ চার ও ৮ ছক্কায়, মাত্র ৩১ বলে অপরাজিত ৭০ রান করেন রাসেল। অন্যদিকে ২৩ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বিলিংস। রাসেলের এই তাণ্ডবের সামনে বৃথা যায় রাহুল চাহারের দুর্দান্ত বোলিং। পিবিকেএস এর হয়ে এই লেগস্পিনার ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
অবশ্য এমন ঝড়ো ব্যাটিং করেও প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হননি রাসেল। কেননা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন উমেশ যাদব। এই ম্যাচে জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অপরদিকে পরাজিত হয়ে পাঞ্জাব কিংস এখন পয়েন্ট টেবিলের ৭ম স্থানে অবস্থান করছে।
স্কোরবোর্ড
পাঞ্জাব কিংস – ১৩৭/১০ (১৮.২)
কলকাতা নাইট রাইডার্স – ১৪১/৪ (১৪.৩)
ফলাফল – কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – উমেশ যাদব
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ (প্রথম টেস্ট – ২য় দিন)
ডারবানের কিংসমিডে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারী বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৮ রান। স্বাগতিকদের করা ৩৬৭ রানের চেয়ে ২৬৯ রানে এখনও পিছিয়ে আছে টাইগাররা। ফলোঅন এড়াতে করতে হবে আরও ৭০ রান।
৪ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করা দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় দিন সকালে টেম্বা বাভুমা (৫৩*) এবং কাইল ভেরাইনাকে (২৭*) নিয়ে মাঠে নামে। দিনের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন পেসার খালেদ আহমেদ। ভেরাইনাকে (২৮) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বাভুমার সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন খালেদ। পরের বলে নতুন ব্যাটার উইয়ান মুল্ডারের (০) তুলে দেওয়া ক্যাচ স্লিপে দুর্দান্তভাবে তালুবন্দি করেন মাহমুদুল হাসান জয়। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্ত থেকে বাভুমাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মেহেদী হাসান।
১২ বাউন্ডারিতে, ১৯০ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন বাভুমা। এরপর কেশব মহারাজ ফিরেন ১৯ রান করে। ২৯৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর লেজের ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৩৬৭ রান। সফরকারীদের পক্ষে খালেদ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া মেহেদী ৩টি এবং এবাদত হোসেন ২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
১ম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের হঠাৎ অসুস্থতায় স্কোয়াডে জায়গা পান সাদমান ইসলাম কিন্তু সেটা তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে সাইমন হারমারের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তার উইকেটের সঙ্গে সঙ্গেই চা পানের বিরতি দেওয়া হয়।
এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে ১৬০ বলে ৫৫ রানের দারুণ জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। দিনের সাত ওভারের মতো বাকি থাকতে সেই সাইমন হারমারের দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত (৩৮)। এই ডানহাতি অফ স্পিনারের ফিরতি ওভারেই ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক (০)।
এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেনি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ব্যক্তিগত ৭ রানে সেই হার্মারের বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। দিনের বাকি ১ ওভার শেষ করতে উইকেটে আসেন নাইট ওয়াচম্যান তাসকিন আহমেদ। অবশেষে মাহমুদুল ৪৪ এবং তাসকিন ০ রানে অপরাজিত থেকে ২য় দিনের খেলা শেষ করেছেন।
স্কোরবোর্ড
দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম ইনিংস) – ৩৬৭/১০ (১২১.০)
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) – ৯৮/৪ (৪৯.০)