কুলদীপ যাদব বলতেই পারেন কোলকাতা ছেড়ে দিল্লি আসা তার জন্য শাপে বর হয়েছে। শাহরুখ খানের দলে বল হাতে যতোটা আলো ছড়িয়েছেন, দিল্লিতে এসে তার চেয়েও যে বেশি আলো ছড়াচ্ছেন এই স্পিনার।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে আছেন কুলদীপ যাদব। বল হাতে দলের জয়ে যেমন অবদান রাখছেন, তেমনি নিজের সক্ষমতার প্রমাণ করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। টুর্নামেন্টে শুরুটাও হয়েছে দারুণভাবে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ধারালো হয়ে উঠেন কুলদীপ। মাত্র ২৮ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করে দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
এবারের আইপিএল মেগা নিলাম থেকে কুলদীপকে দলে ভেড়ায় দিল্লী। নিজের প্রতি দলের আস্থা এবং প্রত্যাশার প্রতিদানও দিচ্ছেন কুলদীপ। বোলিংটা করছেন বেশ ধারাবাহিক। রান খরচেও খুব মিতব্যয়ী। সংখ্যাটা যা-ই হোক, প্রতি ম্যাচে উইকেটও থাকছে কুলদীপের ঝুলিতে। দীর্ঘদিন পর আইপিএলে কুলদীপময় রূপ দেখা যাচ্ছে এই লেগ স্পিনারের। হয়তো সুযোগের সদ্ব্যবহারটাই করে যাচ্ছেন তিনি।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে লম্বা সময় ধরে আইপিএল খেলেছেন কুলদীপ। তবে সেখানে নিজেকে সেভাবে মেলে না ধরতে পারেননি তিনি। কারণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে গুঞ্জন শোনা যায়, পর্যাপ্ত সুযোগটাই নাকি পাননি এই তারকা ক্রিকেটার। এবার কলকাতা ছেড়েই স্বরূপে উড়ছেন কুলদীপ। বল হাতে স্পিন ভেলকিতে কুপোকাত করছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সেরা বোলার কুলদীপ। দিল্লীর জার্সিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ওভারপ্রতি ৭.৮৫ করে রান দিয়েছেন এই স্পিনার। এই আসরে সেরা বোলিংটা করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষেই। ৩৫ রানে ৪ উইকেট শিকার করে দিল্লীকে যেমন জেতালেন, তেমনি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে।
তবে বেশ স্বস্তিতে নেই তার দল। পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে অবস্থান করছে দিল্লী। ৬ ম্যাচ থেকে জয় পেয়েছে মাত্র ৩টি। বাকি তিন ম্যাচ হেরে তাদের পয়েন্ট সংখ্যা মাত্র ৬। টুর্নামেন্টে এখনো ১২টি ম্যাচ বাকি আছে তাদের। তবে এখনো আশা শেষ হয়ে যায়নি দিল্লীর। শেষ ম্যাচ গুলোয় ভালো খেলে জয়ের দেখা পেলে শেষ চারে যাওয়ার আশা করতেই পারে দলটি। আর জয়ের জন্য বেশ মরিয়া হয়ে উঠতেই পারেন কুলদীপরা।