টেস্ট ক্রিকেটে সাত নাম্বার পজিশনে ব্যাট করতে নেমে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপ্লব এনেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। সাদা পোষাকের ক্রিকেটে সাত নাম্বারে ব্যাট করলেও রঙিন পোষাকের ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে গিলক্রিস্ট ছিলেন বোলারদের জন্য আতঙ্কের নাম।
ভারতের উদীয়মান তরুণ ক্রিকেটার ঋষভ পন্থের ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনাটা কাজে দিতে পারে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পন্থের সেরাটা বের করে আনার জন্য এমন পরিকল্পনা কাজে দিবে বলে মনে করেন তিনি।
ব্যাটিংয়ের ধরন, আগ্রাসী মানসিকতা, স্কিল ও পেশির জোর, বোলারদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য সব মিলিয়ে পন্থ হতে পারেন রঙিন পোষাকের এক বিধ্বংসী ক্রিকেটার। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার ব্যাটিং কোন আশার আলো দেখাচ্ছে না। তবে টেস্টে পন্থ দুর্দান্ত। তাই ভারতের এই কিংবদন্তী মনে করেন, লাল ও সাদা বলে পন্থের ব্যাটিং পজিশন ভিন্ন করে দেখা যেতেই পারে।
গাভাস্কার বলেন, পন্থকে ওপেন করানো মোটেও খারাপ ভাবনা নয় । সাদা বলের ক্রিকেটে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট অস্ট্রেলিয়ার জন্য কী করেছে, ভেবে দেখুন! টেস্টে সে ছয়-সাতে ব্যাট করেছে, কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে ওপেন করেছে এবং বিধ্বংসী এক ব্যাটসম্যান ছিল। পন্থ ও একইরকম ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ওপেনিংয়ে। যদি তাই হয় আরও বেশি ওভার খেলার সুযোগ পাবে সে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ানডেতে পন্থ একবারই ওপেন করেছেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে ওপেন না করলেও ৬টি ম্যাচে তিনি তিনে ব্যাট করেছেন। গাভাস্কার মনে করেন, ইনিংস শুরু করলে পন্থের মানসিকতায় পরিবর্তন আসবে, তাতে সাফল্যের দেখাও পাবেন তিনি।
গাভাস্কার বলেন, ” আমরা তাকে নিয়ে কথা বলছি সীমিত ওভারে ফিনিশার হিসেবে । কিন্তু সে মাঠে নেমেই সরাসরি মারতে শুরু করে এবং দ্রুত আউট হয়ে যায়। ওপেন করলে তার ভাবনায় এটা থাকবে যে শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে খেলতে হবে না। বলের গতি ও মুভমেন্টের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কিছুটা সময় পাওয়া যাবে।”