১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কা ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল এবারের এশিয়া কাপের। এবারের এশিয়া কাপে অনেক ব্যাপারেই নজর কেড়েছে ক্রিকেট ভক্তদের। বিরাট কোহলির শতরান, নাসিম শাহের দাপুটে পারফরম্যান্স,
আন্ডারডগ শ্রীলঙ্কার শিরোপা জয়। দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপের মঞ্চ থেকে কি কি পেল ক্রিকেট?
১. শ্রীলঙ্কা থেকে সরে গেল সংযুক্ত আরব আমিরাতেঃ
এশিয়া কাপের এবারের আসর হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। কিন্ত রাজনৈতিক টানাপোড়েন আর প্রচন্ড অর্থনৈতিক মন্দায় থাকার কারনে এত গুলো দেশকে আতিথেয়তা দিতে সক্ষম হয়নি শ্রীলঙ্কা । যার ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয় আসরটি। আর আগের আসর ও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এখানেই।
২. বিরাট কোহলি : দীর্ঘ ৩ বছর সেঞ্চুরি বঞ্চিত ছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দীর্ঘ বিরতির পর এশিয়া কাপে ছন্দে ফিরেছেন কোহলি। ১০২০ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭১ তম সেঞ্চুরি।
সুপার ফোরের পর্বে পাকিস্তানের কাছে হেরে এশিয়া কাপের মঞ্চ থেকে ছিটকে যায় ভারত। নিয়মরক্ষার ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে বিধ্বংসী রূপে ফিরে আসেন কিং কোহলি। এশিয়া কাপে মোট ২৭৬ রান করে সর্বচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যানের তালিকায় ২য় স্থানে আছেন তিনি।প্রথম স্থানে পাকিস্তানের রিজওয়ান।
৩. শ্রীলঙ্কা : এশিয়া কাপ শুরুর আগেই লংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকা ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশের ক্রান্তিলগ্নে দেশের মানুষের জন্য শিরোপা জিততে চান তিনি। অথচ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তানের সাথে ৮ উইকেটে হেরে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে তারাই পাকিস্তানকে ২৩ উইকেটে হারিয়ে ৬ বারের মত এশিয়া কাপ জেতে।
৪. নাসিম শাহ : এশিয়া কাপে এবার চমক দেখিয়েছেন পাকিস্তানের উদীয়মান তরুণ পেসার নাসিম শাহ। এশিয়া কাপের এবারের আসরে ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে গোটা ক্রিকেটবিশ্বকে। পাক–ভারত প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান জিততে না পারলেও তার খেলার প্রশংসা সবাই করেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ভাগ্যই বদলে দিয়েছিলেন এই তরুণ পেসার। পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন সাত উইকেট। এদিকে অভিনেত্রী উর্বশীর সাথে তার প্রেমের খবর ছড়িয়ে যায় নেট জগতে। যদিও এক সাক্ষাৎকারে পরে তিনি জানান এই অভিনেত্রীকে তিনি চেনেননা।
উল্লেখ্য এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ ৭ বার চ্যাম্পিয়ন দল ভারত। এতদিন ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল ছিল শ্রীলঙ্কা। এবার ৬ বারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনল দলটি।