২৭ আগস্ট পর্দা উঠছে এশিয়া কাপে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দল ঘোষনাও করেছে নির্বাচকরা। এরপরেই ঘুরে ফিরে আসছে প্রশ্নটা, দলে স্বীকৃত দুই ওপেনার ব্যর্থ হলে সমাধানের বিকল্প উপায় কি?
দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। তামিম ইকবাল অবসরে। এশিয়া কাপে ১৭ জনের বাংলাদেশ দলে স্বীকৃত ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবং নবাগত পারভেজ হোসেন ইমন। তবে ইমনের সুযোগ পাওয়া নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। আর তাই বিজয়ের সঙ্গে সিনিয়র কোনো ক্রিকেটারকে দিয়েই ওপেন করাতে চায় ম্যানেজমেন্ট।
আভাস পাওয়া গেছে সেক্ষেত্রে নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিজেও ওপেনিংয়ে খেলতে আগ্রহী। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে, নতুন বলে প্রস্তুতি সারবেন বলেও জানা যায়। খুব শীঘ্রই মুশফিককে সেই আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানান টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
এদিকে ২০ ও ২২ আগস্ট নিজেদের মধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তবে এরমধ্যে ব্যক্তিগত অনুশীলন করতে বাঁধা নেই। তাই লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসান ঘাম ঝরাচ্ছেন মিরপুরে। ফিটনেস, ব্যাটিং এবং বোলিং অনুশীলন করার পাশাপাশি দল নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
মুশফিককে ওপেনিংয়ে খেলানো নিয়ে সুজন বলেন, ‘লিটন না থাকায় বিজয়ের সঙ্গে মুশফিককে দিয়ে ওপেন করাতে চায় ম্যানেজমেন্ট। ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আশা করি, মুশফিক চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করবে। খেলোয়াড়দের চোটের কথা মাথায় রেখে বিকল্প হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেন করা দুয়েক জনকে ভাবা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনায় আশা করি, এশিয়া কাপ ভালো হবে।’
সাধারণত, মিডল অর্ডারের ৪/৫ নম্বরে খেলেন মুশফিক। বর্তমানে মুশফিকের অনুপস্থিতিতে চার নম্বরে খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সেখানে ভালোও করছেন তিনি। ফলে আফিফকে ঠিক রেখে ব্যাটিং অর্ডার সাজাতে চাওয়া সুজন আরো বলেন, ‘শেষ ম্যাচগুলোতে আফিফ ভালো করেছে। সে চারে খেলবে। আমরা কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে দেব এবং কিছু জায়গা পরিবর্তন করব।’
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুশফিকের। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ত্রিদেশীয় সিরিজে ইনিংস শুরু করেছেন তিনি। সেই ম্যাচে অবশ্য মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিক। সেই পরিকল্পনাটাও ছিল সাকিবের। এবারও হতে চলেছে তা-ই। দেখা যাক এবার সফল হন কিনা মুশফিক। তাহলে লাভটা টিম বাংলাদেশের।