সময় কত দ্রুত বদলে যায়৷ কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন টিম বাংলাদেশের অপরিহার্য খেলোয়াড়। টি টোয়েন্টির অধিনায়ক। সেই তিনিই এখন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে থাকবেন কিনা সেটা নিয়েই চলছে আলোচনা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মুদ্রার ওপিঠও দ্রুত দেখলেন।
দেশের সাইলেন্ট কিলার হিসেবে খ্যাত রিয়াদ এশিয়া কাপে থাকবেন কি না সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঘোষণা করা ১৭ জনের দলে ঠাই পেয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে সফরে ‘বিশ্রামে’ থাকায় অধিনায়ক ছিলেন না। এশিয়া কাপেই নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়েন রিয়াদ। নতুন টি টোয়েন্টি অধিনায়ক হন সাকিব।
ইংলিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দলকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়া এরকম অনেক অর্জনই রয়েছে রিয়াদের হাতে। কিন্ত বর্তমান বয়সটাই যে তার পক্ষে নেই। রিয়াদের শেষের শুরুও হয়ে গেছে।
এশিয়া কাপের একাদশে তার জায়গা এখনও অনিশ্চিত। প্রথমত, তিনি অধিনায়ক নন, তার উপর দলে মিডল-অর্ডার ব্যাটারের সংখ্যাও তুলনামূলক বেশি। যদিও টিম ডিরেক্টর খালেহ মাহমুদ সুজন বলেছেন, একাদশে জায়গা আছে রিয়াদের। কারণ হিসেবে বলেছেন অভিজ্ঞতা। যদিও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে অভিজ্ঞতার ফল সেভাবে দিতে পারনেনি এই ক্রিকেটার।
সুজন বলেন,” মাহমুদউল্লাহর জায়গা তো থাকবেই। অভিজ্ঞতা আছে। এই ফরম্যাটে অনেক ম্যাচ খেলেছে। আমার মনে হয় ১২০ টার মত ম্যাচ খেলেছে।ব্যাটার আমরা অনেককে নিয়েছি। আমি যেটা বারবার বলছি পজিশন ফিক্সড করার কথা বলছি না যে কে কোথায় ব্যাট করবে। রিয়াদকে হয়তো উপরে ব্যাট করতে হতে পারে, হয়তো সাত আটে করবে। আমি জানিনা কোথায় করাব।”
সুজন আরও বলেন,” আমরা আমাদের এখনো ওইভাবে বসিনি। যাওয়ার আগে সবাইকে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিব। আমাদের কী প্রত্যাশা সেটাও স্পষ্ট করে বলা হবে। ১০৬-১০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে আপনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জিততে পারবেন না। আপনার ১৪০-৫০ এ ব্যাট করতে হবে।
এদিকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আশাবাদী ভালো করবে এই দল। তিনি বলেন ” আশা করছি এশিয়া কাপে ভালো কিছু করবে আমাদের দল। জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালো করতে পারিনি ঠিক, তবে এশিয়া কাপে পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে।”
সময়েই বলে দেবে নান্নুর প্রত্যাশা পূরন হবে কিনা।