এশিয়া কাপ ২০২৩ হওয়ার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু ভারত সেখানে যেতে রাজি না হওয়ায় এশিয়া কাপের ভেন্যু পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর পাকিস্তানেই এশিয়া কাপ আয়োজিত হলেও ভারতের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান এশিয়া কাপের আয়োজক না হলে সেখানে আসতে পারত বাংলাদেশের নাম। কিন্তু বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
ভেন্যু নিয়ে এই মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ” এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেটা এখন পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। যেহেতু আনুষ্ঠানিক আয়োজক পাকিস্তান, সেহেতু পরবর্তী ভেন্যুও তারাই ঠিক করবে। আগামী মার্চে আইসিসির একটি মিটিং আছে। সেই সঙ্গে এসিসিরও একটি মিটিং হবে। আর আশা করছি সেখানে আমরা নিশ্চিত করতে পারব এশিয়া কাপের ভেন্যুর ব্যাপারে। ”
এশিয়া কাপ পাকিস্তানে না হলে সেক্ষেত্রে অন্য অপশন হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। পাপন বলেন, ” যদি এশিয়া কাপ পাকিস্তানে না হয়, তাহলে সেখানে আসতে পারে বাংলাদেশের নাম। কিন্তু বাংলাদেশে এশিয়া কাপ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ ওই সময়ে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয়। তবু টি – টোয়েন্টি ফরম্যাট হলেও একটা ঝুঁকি নেওয়া যেত। কিন্তু ওয়ানডে ফরম্যাটে আয়োজিত হবে এশিয়া কাপ। তাই ওই সময়ে এশিয়া কাপ আয়োজন করা আমাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এশিয়া কাপের ভেন্যু হবে অন্য কোনো দেশে। “
এদিকে ভারত যে কোনো ভাবেই পাকিস্তানে যাচ্ছে না তা নিশ্চিত করেছে বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ” মিটিংয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে সব দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। আর এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এশিয়া কাপ খেলতে ভারত কোন ভাবেই পাকিস্তানে যাবে না। যে কারণে ভেন্যু স্থানান্তরিত করা হবে। কোহলি, রোহিত, গিলরা যদি এ ধরনের প্রতিযোগিতায় না থাকে তাহলে স্পন্সররা আসবে না। যে কারণে বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। “
এদিকে মিটিংয়ে পাকিস্তান থেকে ভেন্যু সরে যাওয়ার প্রস্তাব করার পরেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিসিবি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান ক্রিকেটে এমনিতেই অর্থসংকট চলছে। তার মধ্যে এশিয়া কাপের আয়োজন করা হলে অর্থ ক্ষতির আরও সম্ভাবনা থাকতে পারে। কিন্তু ভেন্যু পরিবর্তন করা হলে উল্টো পাকিস্তানের আরও আয়ের সম্ভাবনা থাকবে। সব জল্পনা কল্পনা শেষে এশিয়া কাপ শেষ পর্যন্ত কোথায় হয়, এটাই এখন দেখার বিষয়।