২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস (এলএ) অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটকে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টি -টোয়েন্টি ভার্সনের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্টে ক্রিকেটকে একটি ইভেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে।
আইসিসি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এবং সেখান থেকে বিডে নেতৃত্ব দেওয়া হবে। আইসিসি আশা করছে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস, ২০৩২ ব্রিসবেন এবং এরপরের আসরগুলোতেও ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হবে।
এই গ্রুপের প্রধান হিসেবে থাকবেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) চেয়ারম্যান ইয়ান হোয়াটমোর। তার সঙ্গে এই গ্রুপে কাজ করবেন আইসিসির স্বাধীন পরিচালক ইন্দ্রা নুয়ি, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রধান তাবেঙ্গা মুকুলানি, আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর পরিচালক ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সহ-সভাপতি মাহিন্দা ভালিপুরাম ও যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের প্রধান পারাগ মারাঠে।
আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেছেন, ‘আমাদের পুরো ক্রীড়া ইউনিট এই বিডের পেছনে রয়েছে এবং আমরা অলিম্পিকে ক্রিকেটেকে দীর্ঘ ভবিষ্যতের অংশ হিসেবে দেখছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও বেশি ভক্ত রয়েছে এবং তাদের প্রায় ৯০% অলিম্পিকে ক্রিকেট খেলা দেখতে চায়। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে ক্রিকেটের একটি শক্তিশালী ভক্তগোষ্ঠী রয়েছে, যার ৯২% দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ৩০ মিলিয়ন ভক্ত রয়েছে।
তিনি আরও বিশ্বাস করেন যে অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেট এক দারুণ হবে সংযুক্তি। যদিও এই কাজটি করা সহজ হবে না। কারণ আরও দারুণ সব খেলা আছে যারা এই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
অলিম্পিকে একবারই ক্রিকেট হয়েছিল। সেটা সেই ১৯০০ সালে প্যারিসে। গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতায় সেবার গ্রেট ব্রিটেন স্বর্ণ আর ফ্রান্স রৌপ্য পদক জিতেছিল। তবে তার পর থেকে অলিম্পিকে ক্রিকেট না রাখার মূল কারণই ছিল, বেশি সময় ব্যয়। তখন তো ছিল কেবল টেস্ট ক্রিকেট।
কিন্তু বর্তমান সময়ে ক্রিকেটের ফরমেট বদলেছে। ২০ ওভারের টি-টোয়েন্টি ফরমেটে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো। এখন ১০০ বলের ক্রিকেট বা ১০ ওভারের ফরমেটও চলে এসেছে। তাই সময়টাকে এখন আর বড় বাধা মনে করছে না আইসিসি।
ক্রিকেট বিশ্বে আরও আকর্ষণীয় সংবাদের জন্য Baji -র সাথেই থাকুন!