আইপিএল ২০২২ – ম্যাচ ৯ (এমআই বনাম আরআর)
শনিবার আইপিএল এর ১৫তম সংস্করণের ৯ম ম্যাচে মুম্বাইয়ের ডিওয়াই প্যাটেল স্টেডিয়ামে জস বাটলারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের (এমআই) বিপক্ষে ২৩ রানের সহজ জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস (আরআর)। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় স্কোর সংগ্রহ করে আরআর।
আরআর এর পক্ষে ওপেনার জস বাটলার ১১ চার ও ৫ ছক্কায়, ৬৮ বলে সর্বোচ্চ ১০০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এছাড়া শিমরন হেটমায়ার ১৪ বলে ৩৫ এবং অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ২১ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এমআই এর হয়ে যশপ্রীত বুমরাহ এবং টাইমাল মিলস সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট তুলে নেন।
১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরআর এর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় এমআই। দলের পক্ষে ৩ চার ও ৫ ছক্কায়, ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন তিলক বর্মা। এছাড়া ওপেনার ইশান কিষান ৫৪ এবং কাইরন পোলার্ড ২২ রান করে সাজঘরে ফিরেন। আরআর এর হয়ে যুজবেন্দ্র চাহাল ও নবদ্বীপ সাইনি সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং প্রসিধ কৃষ্ণ ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
এই ম্যাচে জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে রাজস্থান রয়্যালস। অপরদিকে পরাজিত হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এখন পয়েন্ট টেবিলের ৯ম স্থানে অবস্থান করছে।
স্কোরবোর্ড
রাজস্থান রয়্যালস – ১৯৩/৮ (২০.০)
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস – ১৭০/৮ (২০.০)
ফলাফল – রাজস্থান রয়্যালস ২৩ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – জস বাটলার
আইপিএল ২০২২ – ম্যাচ ১০ (জিটি বনাম ডিসি)
শনিবার আইপিএল ২০২২ এর ডাবল হেডারের ২য় ম্যাচে পুনের এমসিএ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের (ডিসি) বিপক্ষে ১৪ রানের এক দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে গুজরাট টাইটানস (জিটি)। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে জিটি।
জিটি’র পক্ষে ওপেনার শুবমান গিল ৬ চার ও ৪ ছক্কায়, ৪৬ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এছাড়া অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ২৭ বলে ৩১ এবং ডেভিড মিলার ১৫ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডিসি’র হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বাধিক ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া খলিল আহমেদ ২টি এবং কুলদীপ যাদব ১টি উইকেট তুলে নেন।
১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিটি’র বোলারদের অসাধারণ বোলিং আক্রমণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থেমে যায় ডিসি’র ইনিংস। দলের পক্ষে ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। এছাড়া ললিত যাদব ২৫ এবং রোভম্যান পাওয়েল ২০ রান করে সাজঘরে ফিরেন। জিটি’র হয়ে লকি ফার্গুসন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মোহাম্মদ শামি ২টি এবং হার্দিক ও রশিদ খান ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
এই ম্যাচে জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩য় স্থানে উঠে এসেছে গুজরাট টাইটানস। অপরদিকে পরাজিত হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস এখন পয়েন্ট টেবিলের ৪র্থ স্থানে অবস্থান করছে।
স্কোরবোর্ড
গুজরাট টাইটানস – ১৭১/৬ (২০.০)
দিল্লি ক্যাপিটালস – ১৫৭/৯ (২০.০)
ফলাফল – গুজরাট টাইটানস ১৪ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – লকি ফার্গুসন
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ (প্রথম টেস্ট – ৩য় দিন)
ডারবানে বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। ৬৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে প্রোটিয়ারা। এরপর ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলতেই শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি, শেষ হয় তৃতীয় দিনের খেলা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৩৬৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৯৮ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান। টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটিই কোনো বাংলাদেশির প্রথম সেঞ্চুরি।
১৫টি চার ও ২টি ছক্কায়, ৩২৬ বলে ১৩৭ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন জয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন উইকেটরক্ষক–ব্যাটার লিটন দাস। এ ছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৮ ও মেহেদী হাসান ২৯ রান করেন। ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাট থেকে এসেছে ২২ রান। প্রোটিয়াদের পক্ষে সাইমন হারমার ১০৩ রানে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া লিজাড উইলিয়ামস ৩টি উইকেট তুলে নেন।
স্কোরবোর্ড
দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম ইনিংস) – ৩৬৭/১০ (১২১.০)
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) – ২৯৮/১০ (১১৫.৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা (২য় ইনিংস) – ৬/০ (৪.০)
পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া (৩য় ওয়ানডে)
তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২১১ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে পাকিস্তান। ২০০২ সালের পর এই প্রথম অসিদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। শাহিন আফ্রিদির করা ম্যাচের প্রথম বলেই বোল্ড হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেড। দ্বিতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন হারিস রউফ। ষষ্ঠ ওভারে মারনাস লাবুশানকেও (৪) সাজঘরে পাঠান হারিস।
এরপর বেন ম্যাকডারমটের ৩৬, অ্যালেক্স ক্যারির ৫৬, ক্যামেরন গ্রিনের ৩৪ ও শন অ্যাবটের ৪৯ রানের ওপর ভর করে ২১০ পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় অসিরা। পাকিস্তানের হয়ে হারিস ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি দুটি উইকেট তুলে নেন।
২১১ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৪ রানে ফখর জামানকে (১৭) হারানোর পর অবিচ্ছিন্ন ১৯০ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক। গত ম্যাচের মতো আজও শতক হাঁকিয়েছেন পাক দলপতি বাবর । ১২টি চারের সাহায্যে ১১৫ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ এই ব্যাটার। ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাম-উল-হক। অসিদের পক্ষে নাথান এলিস ১টি উইকেট তুলে নেন।
দুর্দান্ত পারফর্ম করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ এবং সিরিজ উভয়ই নির্বাচিত হয়েছেন বাবর আজম। আগামী ৫ই এপ্রিল এই দুই দল সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে।
স্কোরবোর্ড
অস্ট্রেলিয়া – ২১০/১০ (৪১.৫)
পাকিস্তান – ২১৪/১ (৩৭.৫)
ফলাফল – পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – বাবর আজম
প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ – বাবর আজম