বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একেকটি মৌসুম শুরু হওয়া মানেই যেন, বিতর্কের ছড়াছড়ি। এটা নেই, ওটা নেই। চারিদিকে কেবল নেই এর হাহাকার। নবম আসরে এসেও একটি মানসম্মত অবস্থানে পৌঁছাতে না পারায়, কয়েকদিন আগে এই টুর্নামেন্টকে ‘যা–তা‘ বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান। এবার তার কন্ঠে সুর মিলিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা বললেন, বিপিএল হযবরল।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন ট্রফি উন্মোচনে অংশ নিয়েছেন সাত দলের অধিনায়ক। সেখানে গণমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, ” বিপিএল হতে পারত নতুন খেলোয়াড়দের তুলে আনার মঞ্চ, কিন্ত বর্তমানে এটার অবস্থা দেখলে যে কোন মানুষের মনে হবে, একটি হযবরল ব্যাপার। একটি মাঠে সবগুলো দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলন করছে। এক মাঠে সবকিছু হয়, এমন আর কোথাও দেখবেননা। এই টুর্নামেন্ট সফল করতে কিছু পরিকল্পনা লাগে, আলাদা একটা সৌন্দর্য থাকা দরকার। যা আমরা আগে থেকে করতে পারিনি, যে অবস্থা করতে পারব বলেও মনে হয়না “।
বিপিএলের প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজিকে লম্বা সময় পর্যন্ত থাকার সুযোগ করে দেওয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব বলে মনে করছেন মাশরাফি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক বলেন, ” ক্রিকেট এখন আগের তুলনায় বেশি বানিজ্যিক হয়ে গেছে, ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে সুবিধাজনক জায়গায় রাখা, বোর্ডের দায়িত্ব। প্রত্যেক দলের মালিক একটি স্বপ্ন নিয়ে আসে, কেউ এখানে লোকসান গুনতে এখানে আসবেনা, এটাই স্বাভাবিক । প্রত্যেক দল যেন লম্বা সময় ধরে থাকতে পারে, সেই দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নজর দেয়া উচিৎ। “
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোতে, ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের প্রতিও আহবান জানান মাশরাফি। তিনি বলেন, ” এবার অন্তত তিন বছরের চুক্তি। ফ্রাঞ্চাইজিগুলো এখন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানে। সেক্ষেত্রে ফ্রাঞ্চাইজি মালিক, বোর্ডের এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সল বসে একটি আলোচনা করে সবার চাহিদার বিষয়ে সমাধান করতে পারেন। বোর্ড এবং দলের মধ্যে সমঝোতা হলে ভালো কিছু হতে পারে। আমাদের বিপিএলে এখনো অনেকগুলো সমস্যা । এগুলো ঠিক না করলে সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। টুর্নামেন্ট সফল করতে পরিকল্পনা বদলাতে হবে। “
এদিকে বরারের মতো এবারের আসরেও থাকছে না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। দলগুলোর নেই কোনো গোছালো প্রস্তুতি। ম্যাচ জার্সি দূরে থাক, অনুশীলন জার্সিটা হাতে পেতেও অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। যেখানে অপেশাদারিত্বের ছাপ স্পষ্ট। মজার ব্যাপার হলো, বিপিএল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোনো আম্পায়ারই সাতটি দলের পুরো নামটাই জানেন না।