শর্ট বলে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা অনেক পুরানো সমস্যা। বলা হয় দেশে টাইগাররা যে ধরনের পিচে অনুশীলন করে বিদেশের মাটিতে সেটা ভিন্ন থাকে। তাইত বাউন্সি উইকেটে মানিয়ে নিতে না পেরে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম হয়নি৷
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একাডেমী মাঠ। সেখানেই এবার তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের পিচ। এরপর থেকেই দেশের ক্রিকেটে ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্নটি, তবে কি নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এই পিচেই নিজেদের প্রস্তুত করছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা?
৭০-৮০ দশকে সময়ে গোটা বাংলাদেশেই কংক্রিটের পিচে অনুশীলন করতেন ক্রিকেটাররা। এমনকি ঢাকার সবগুলো ক্লাবেই ছিল এই পিচ। এবার বিসিবি একাডেমীতে সেই কংক্রিটের পিচ ফিরিয়ে আনা সম্পর্কে ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস জানালেন, টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ২-৩টি কংক্রিটের পিচ তৈরি প্রস্তাবনা ছিল। সেই দাবী মেনেই এই উইকেট বানাচ্ছে বিসিবি
নাফীসের দাবি, এখানে বল স্কিড এবং বাউন্স করবে। ব্যাটসম্যান এবং বোলার উভয়েই সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে দুটি অ্যাস্ট্রো পিচ তৈরির কথাও জানান নাফীস।
তবে নাফীসের সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশের সাবেক পেসার হাসিবুল হোসেন শান্ত। তাদের মতে, কংক্রিটেরর পিচে পেসারদের কোনো সুবিধা নেই। বরং পেসারদের উন্নতি করতে হলে, ঘাসযুক্ত শক্ত পিচে অনুশীলন প্রয়োজন।
১৬ অক্টোবর পর্দা উঠবে এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর আবার নতুন ভাবে ঘুরে দাড়াচ্ছে টিম বাংলাদেশ। ১২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ক্যাম্প। শ্রীধরন শ্রীরামের তত্তাবধানে এই ক্যাম্প মূলত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করেই।