দেশের জার্সিটা তুলে রেখেছেন সেই কবেই। তবু মাঠের সবুজ ঘাস, ২২ গজ যেন তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে৷ক্রিকেটার পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি একজন সাংসদ ও বটে, তবু দিনশেষে বল হাতে বাইশ গজে তিনি দৌঁড়াবেনই। অদম্য এই মাশরাফি যেন ফুরাবার নয়, থামার নয়৷ একটা ব্রেক-থ্রু এনে দিয়ে দলকে স্বস্তিতে ফেরানোতেই যেন তার সব খুশি। একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা তো এমনই।এবারের ডিপিএলেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বল হাতেও সফল মাশরাফি।
গত জানুয়ারিতে বিপিএল খেলবেন কিনা তা নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। দীর্ঘদিন ধরে পিঠের ইঞ্জুরিটা ভোগাচ্ছে তাকে। এ কারণেই বিপিএলে বেশকিছু ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে সেই ইঞ্জুরি থেকে সেরে উঠার মিশনে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেও ফল পাননি মাশরাফি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ, সমস্যা সমাধানে অস্ত্রোপচার করাতে হবে।
তবে হুটহাট অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলতেই অস্ত্রোপচার ছাড়া সেরে উঠার উপায় খুঁজেছেন মাশরাফি। কারণ, অস্ত্রোপচার করলেও দীর্ঘদিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হতো তাকে। শেষ পর্যন্ত ভারতের চেন্নাই গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আসেন। তবে দেশে ফিরেও ডিপিএলের শুরুতে মাঠে নামতে পারেননি এই ফাস্ট বোলার।
তবে যখনই মাঠে ফিরলেন, যেন ঠিক পুরনো ম্যাশকেই পেয়েছে রূপগঞ্জ। নেতৃত্ব দিয়ে যেমন গোটা দলকে চাঙ্গা করে রেখেছেন, তেমনি দলের বোলিং ইউনিটেও শক্তি বাড়িয়েছে নড়াইল এক্সপ্রেসের উপস্থিতি। বয়স যে তার চল্লিশ ছুঁইছুঁই, তা টেরই পাওয়া যায় না বাইশ গজের মাশরাফিতে। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন তিনি। উইকেট শিকারেও ছিলেন বেশ ধারাবাহিক।
সদ্যশেষ ডিপিএলে সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকায় ৬ নম্বরে আছে মাশরাফির নাম। রূপগঞ্জের জার্সিতে ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ২০ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। ইকোনমি রেট কিংবা বোলিং গড়, সবদিকেই বেশ নিয়ন্ত্রিত মাশরাফি। ওভারপ্রতি ৫.৪৫ রান খরচ করে প্রতি উইকেট শিকারে ২৯.৭৫ বল করেছেন ম্যাশ।