ইঞ্জুরিতে জর্জরিত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। একের পর এক ক্রিকেটারদের ইঞ্জুরিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বোর্ড কর্তাদের কপালে। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকেই ইঞ্জুরিতে দলের মূল দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। অপরদিকে দেশে ফিরে ডিপিএল খেলতে যেয়ে ইঞ্জুরিতে পড়েন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বদলি হিসেবে খেলতে নেমে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনেই হাতের আঙুলের চোটে পান অফস্পিনার নাঈম হাসান।
এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে দুই ধাপে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা। এই সিরিজেই খেলায় ফিরছেন অলরাউন্ডার মিরাজ ও পেসার তাসকিন। তাদের ব্যাপারে বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, ‘মিরাজ আঙ্গুলের চোটের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের ফিজিওদের তত্বাবধানে সে ফিজিওথেরাপি, রিহ্যাবিলিটেশন ও স্কিল ট্রেনিং করেছে। আমরা আত্মবিশ্ববাসী যে শুরু থেকেই মিরাজ দলের সঙ্গে পূর্ণ মাত্রায় অনুশীলনে অংশগ্রহন করতে পারবে।
দেবাশীষ আরো জানান ” তাসকিন পুনর্বাসনের দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে। এখন সে ফুল রান আপে ৭০-৮০ ইন্টেনসিটিতে বল করতে পারছে এবং এভাবেই ওর ফিটনেস বাড়তে থাকব। আশা করছি ওয়েস্ট ইন্ডিজে শর্টার ভার্সনে খেলতে ওর কোন অসুবিধা হবে না।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম এবং স্পিনার নাঈম হাসান। আগামী সপ্তাহে তারা বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পে ফিরতে পারবে বলে জানিয়েছে দেবাশীষ, বলেন ” ওর (শরিফুল) ফ্র্যাকচারের ২১ দিন পূর্ণ হবে ৮ কি ৯ তারিখের দিকে, তখনই ওর প্লাস্টার খোলা হবে। তখন শরিফুল এর্বং নাঈম দুজনকে আমরা টাইগারদের ক্যাম্পে যুক্ত করব যেখানে ওদের ফিজিও থেরাপি, রিহ্যাব ও স্কিল ট্রেনিং একসাথে চলবে। যেহেতু শরিফুলের চোট ননবোলিং হ্যান্ডে আশা করছি ওর বোলিংয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
নাইমের মধ্যাঙ্গুলে যে চোট তারও ২১ দিন পূর্ণ হবে ৮-৯ তারিখের দিকে। যদিও এখন ফিটনেস ট্রেনিংয়ে কোন নিষেধ নেই, তবে স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য আমরা একটু অপেক্ষা করছি। আশা করছি ১০-১১ তারিখে টাইগারদের ক্যাম্পে শরিফুল ও নাইমকে যুক্ত করতে পারব ওদের রিহ্যাব ও ফিটনেসের জন্য।’