ঘরোয়া টুর্ণামেন্টগুলোতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলস্বরূপ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে ডাক পান অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মূলত স্পিনার নাঈম হাসানের ইঞ্জুরিতে কপাল খুলে সৈকতের।
আশা জাগিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেও ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসেও কোন পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন নি এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। দুই ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন মাত্র ৯। বল হাতে পান নি কোন উইকেটের দেখা।
দলে ফিরে এমন বাজে পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যানেজমেন্ট ও কোচদের হতাশ করেছেন সৈকত৷ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর কণ্ঠে ঝরেছে হতাশার বাণী। সৈকতের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘মোসাদ্দেক খেলেছে কারণ পঞ্চম বোলার হিসেবে কাউকে প্রয়োজন ছিল আমাদের। আমাদের মনে হয়েছিল, দিনে ১৫ ওভার বোলিং করে দিতে পারবে সে। আমি কখনোই চারজন বোলার নিয়ে খেলার পক্ষপাতী নই। আগেও এটার কারণে আমাদের ভুগতে হয়েছে। এখানেও ভুগতে হয়েছে, কারণ যতটা আশা করেছিলাম, ততটা করতে পারেনি মোসাদ্দেক।’
সৈকতের জায়গায় আরো ভালো অপশন ছিলেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। তাহলে রাব্বিকে অপশন রেখে কেন সৈকতকে স্কোয়াডে নেয়া হলো? জবাবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ জানালেন, রাব্বিকে আট নাম্বারে নামিয়ে ব্যাট পক্ষপাতী ছিলেন না।
কোচের ভাবনায় ছিল মিরাজের মতোই সৈকত ম্যাচ খেলতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘রাব্বিকে খেলালে আট নম্বরে ব্যাটিং করাতে হতো। যেটার কোনো মানে নেই। আমাদের মনে হয়েছিল, মোসাদ্দেক হয়তো প্রায় মিরাজের মতোই করতে পারবে। মিরাজকে না পাওয়া একটা বড় ক্ষতি। কারণ সে অনেক ওভার বোলিং করে, নিয়ন্ত্রিত বল করে, উইকেট নেয়, ব্যাটিংও করে। মোসাদ্দেককে নেওয়ার এটাই আসল কারন।