ইডেনের মতো এবার রাজারহাটেও স্টেডিয়াম তৈরি করতে চলেছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলা (সিএবি)। এখন দেশের প্রায় বেশিরভাগ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থারই দুটি করে স্টেডিয়াম রয়েছে। সিএবি অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছে ইডেন গার্ডেন্সের মতো আরো একটি স্টেডিয়াম তৈরি করতে। ডুমুরজালায় একটা জমিও পেয়েছিল সিএবি। কিন্ত বেশকিছু সমস্যার জন্য সেখানে স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্ভব হয়নি। এবার রাজারহাটে চূড়ান্ত হওয়া জায়গায় স্টেডিয়াম তৈরি করতে আর কোনো সমস্যা থাকছে না।
প্রায় চৌদ্দ একর জমিটা ত্রিশ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে সিএবি। এদিন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী ইডেনে এসেছিলেন। সিএবি কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা সেরেছেন তিনি। যার মধ্যে ছিল নতুন স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়টিও। তবে স্টেডিয়ামের জায়গা বরাদ্দ হয়ে গেলেও কাগজপত্র এখনো সিএবির হাতে আসেনি। সেটা হাতে আসার পরেই শুরু হবে নির্মাণ কাজ। সবমিলিয়ে ইডেনের মতো আরো একটি স্টেডিয়াম পেতে যাচ্ছে বাংলা।
কলকাতায় আইপিএল এবং বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট হলেও একটিমাত্র স্টেডিয়াম অর্থাৎ ইডেনে খেলা হয়। অথচ মুম্বাইয়ের মতো শহরে এই ধরণের টুর্নামেন্ট চালানোর জন্য রয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। এবার সেই পথে হাঁটতে যাচ্ছে কলকাতা। একাধিক স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনায় রাজারহাটে চলছে বাস্তবায়নের স্বপ্ন বুনন।
ইডেনে সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে আইপিএলের প্লে অফ ম্যাচ। এবার বদলে যাচ্ছে স্টেডিয়ামের রূপ-লাবণ্য। চকচকে ঝকঝকে রূপে যে কারো চোখ ধাঁধিঁয়ে যাবে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনে প্রাধাণ্য পেয়েছে সাদা রং। কনফারেন্স রুমটাও সেজেছে ব্যতিক্রমী হয়ে। স্টেডিয়ামের অন্দরমহল যেমন সৌন্দর্যে ভরপুর, তেমনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্যালারির রূপটাও। একইসাথে বাড়তে পারে দর্শক আসন সংখ্যাও। ফ্লাড লাইটে আধুনিক আলোর সংযোজন, সব সৌন্দর্যকে দিগুণ করে তুলবে।