পাকিস্তানের ক্রিকেট দলে অভ্যন্তরীণ বিবাদ যেন সবসময়ই লেগে থাকে। সেই বিবাদের কারণে নানান সময়ে খেলোয়াড়দের বাদ পড়তে দেখা যায়, কেউ কেউ অবসরের মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন। তেমনই একজন ক্রিকেটার, মোহাম্মদ আমির। ২০২০ সালের শেষদিকে অভিমান করেই জাতীয় দলের জার্সিতে না খেলার কথা জানিয়ে দেন বাঁহাতি পেসার।
অবশ্য অবসরের সময় কারণও জানিয়ে যান আমির। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অবশ্য আমির এটাও জানিয়ে যান যে, কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন আসলে আবারো জাতীয় দলে খেলবেন তিনি। তার সেই কথা থেকেই স্পষ্ট কোচিং প্যানেলের ওপর পুরোপুরিভাবে নাখোশ ছিলেন তিনি।
এবার অবশ্য আমিরের সামনে সেই সুযোগ এসেছে। কোচিং প্যানেল তো বটে, গোটা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেই (পিসিবি) এখন ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। যে কারণে অবসর ভেঙে পুনরায় জাতীয় দলে খেলার জন্য, আমিরের পথটা সহজ হতে যাচ্ছে। রমিজ রাজার বদলে এখন পিসিবি সভাপতির চেয়ারে আছেন নাজাম শেঠি, প্রধান নির্বাচক হিসেবে আছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।
এবার রমিজও নেই। আমিরের সঙ্গে যাদের দ্বন্দ্ব, তাদের কেউই বোর্ডে নেই বললেই চলে। তাই তো ফের জাতীয় দলে ফিরতে চান পাকিস্তানের এই তারকা পেসার। এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, ” আল্লাহ চাইলে আমি আবার পাকিস্তানের হয়ে মাঠ মাতাবো। বর্তমান সভাপতি নাজাম শেঠি আমার প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। তিনি আমাকে জাতীয় হাইপারফরম্যান্স ইউনিটিতে অনুশীলন করতে বলেছেন। “
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জার্সিতে ৬১টি ওয়ানডে, ৫০টি টি–টোয়েন্টি এবং ৩৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন আমির। যেখানে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আমির উইকেট শিকার করেছেন মোট ২৫৯টি। এই পেসারের বয়সটাও এখনো ৩০ এর ঘরে। ঘরোয়া লিগগুলোতে যেখানেই খেলছেন, ফর্ম দেখাচ্ছেন তিনি। যে কারণে, পিসিবি আন্তরিক হলে আবারো জাতীয় দলে খেলার জোর সম্ভাবনা থাকছে আমিরের।