ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) হানা দিয়েছে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস)। আইপিএল আয়োজক কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে জানা গেছে, দিল্লী ক্যাপিটালসের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, সার্বক্ষণিক দিল্লীর মেডিকেল দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন প্যাট্রিক ফারহার্ট।
গোটা বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর ছোবলে স্থবির হয়ে পড়েছিল ক্রীড়াঙ্গন। বিশ্বের নানান প্রান্তে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন টুর্নামেন্ট, সিরিজ। এমনকি বিশ্বকাপের মতো মেগা আসরও আয়োজন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় কড়া নিরাপত্তা বজায় রেখে ২০২১ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) আয়োজন করেছিল বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ফর ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
এ বছর ১৫তম বারের মতো চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)
তবে কড়া নিরাপত্তার মাঝেও ভেদ করেছিল করোনা। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয়েছিল আয়োজক কমিটি। পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টুর্নামেন্টের বাকি অংশ। এবারো ঠিক টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দুঃসংবাদ পেয়েছে আইপিএল। মোস্তাফিজের দল দিল্লী ক্যাপিটালস থেকে আসলো সেই দুঃসংবাদ।
তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইপিএল আয়োজক কর্তৃপক্ষ। কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে মুম্বাই এবং পুনের মাত্র চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের আইপিএল। নেই হোম-এ্যাওয়ে সুবিধাও। তবে সব সতর্কতা ছাপিয়ে গিয়ে ক্যাপিটালস শিবিরে ছোবল মেরেছে করোনা।
উল্লেখ্য; চলমান আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ খেলেছে দিল্লী ক্যাপিটালস। যেখানে সমান দুই জয় এবং দুই হার। ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৭ নম্বরে অবস্থান করছে দলটি। যে দলের হয়ে আইপিএল মাতাচ্ছেন বাংলাদেশী তারকা মোস্তাফিজুর রহমান।
এখন পর্যন্ত দারুণ ছন্দে আছেন মোস্তাফিজ। নতুন দল দিল্লী ক্যাপিটালসের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই রাঙিয়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার। ২৩ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। পরের দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও বেশ ইকোনমিকাল বোলিং করেছেন দ্য ফিজ। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত তার বোলিং ইকোনমি ৫.৮৩।
এদিকে দলগুলোর মধ্যে করোনার সংক্রমণ আরো বাড়লে, আইপিএলের ভাগ্য কোন দিকে ঝুলতে পারে তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে। কিন্তু এই সংখ্যা বাড়তে থাকলে বিদেশী ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফদের ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়বে দলগুলোর। যেমনটা পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে আইপিএলের। ইতোমধ্যেই জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে রক্ষা পেতে আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে অনেক বিদেশী তারকা।