শুরু থেকেই দারুণ জনপ্রিয়তা নিয়ে টিকে আছে আইপিএল। সে তুলনায় বিপিএল শুরুতে জনপ্রিয়তা পেলেও দিন দিন যেন তার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। নানা কারণে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এই বিপিএল। এমনটাই বললেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক এবং বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সৌরভ বলেন, ” আমি মনে করি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট উভয়ই থাকবে। কারণ দেশের হয়ে খেলার মতো গর্ব আর কিছুতে কিন্তু নেই। যখন ক্যারিয়ার শেষ হবে তখন ওটাই থেকে যাবে কে কতোটা বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছে। দেশের হয়ে খেলা খুবই গর্বের। অন্যকিছুতে এটা পাওয়া যাবে না। কিন্তু এর পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও থাকবে। “
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। সৌরভের ভাষ্যমতে, ” বিপিএল অনেক ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দিয়েছে। কারণ দেশের হয়ে সবার খেলার সুযোগ থাকে না। দেখা যায় ১৫ – ১৬ জন ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলতে পারে। কিন্তু আরও অনেক প্রতিভা থেকে যায় যারা এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলতে পারে। তারা এক্সপোজার পায়। আর ওইসব ক্রিকেটারদের ইনকাম হয় সারা পৃথিবীতে খেলে। যে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেরও দরকার আছে। ”
সৌরভের মতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ক্রিকেটারদের খেলার উন্নতিও করে। তিনি বলেন, ” ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ক্রিকেটারদের খেলার উন্নতিটা করতে পারে। কারণ সেখানে দেশ বিদেশের বিভিন্ন খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সুযোগ থাকে। যেখানে আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া বাইরের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সুযোগ ছিল না, এখন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সেই সুযোগটা থাকছে। এতে অনেক এক্সপোজার, অনেক উন্নতি হয়। বড় বড় খেলোয়াড়দের সংস্পর্শে যাওয়া সম্ভব হয় এর মাধ্যমে। ”
তবে আইপিএলের সঙ্গে বিপিএলের তুলনা করতে চান না সৌরভ। তার মতে দুটি ভিন্ন জায়গা। তিনি বলেন, ” আইপিএল পুরো একটা ভিন্ন জিনিস। আইপিএলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের এভেইলেবিলিটি বেশি। ফাইনালশিয়াল বিষয়টিও খুবই বিস্তৃত। এনএফএলের পরই বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিগ আইপিএল। তো এখান থেকেই আসলে বোঝা যায় আইপিএল জিনিসটা কী! আর তাই তুলনা চাই না। বিপিএলও ভালো হয় এটাই বলতে চাই। আর বিপিএল থেকেও অনেক কিছু করা সম্ভব। “
উল্লেখ্য, ভারতের একটি ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন সৌরভ। তার আগে তিনি ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে অনেক সম্ভাবনাময় কথা বলেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক। দুই দিনের সফর শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন প্রিন্স অব কলকাতা।