সচরাচর ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দেখা মেলে খুব কম। কালেভাদ্রে খেলা হলেও, সেটা কেবল ওয়ানডে। এবার ফেব্রুয়ারিতে নতুনত্ব নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এ নিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর টাইগারদের ডেরায় সাদা বলের লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ । ইংলিশরা সর্বশেষ সিরিজ খেলে গেছেন ২০১৬ সালে। তাও আবার ৫০ ওভারের ফরম্যাটে।
ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বাংলাদেশে পা রাখবে জস বাটলারের দল। মার্চের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।এদিন মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ওয়ানডে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে একই মাঠে, ৩ মার্চ। ৬ মার্চ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বন্দরনগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এই সফরে থাকছে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তিনটি ম্যাচ খেলবে দুইদল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রম ৯, ১২ এবং ১৪ মার্চ। ম্যাচগুলো আয়োজন করবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই ভেন্যু। উল্লেখ্য যে, এবারই প্রথম দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড। এর আগে কালেভদ্রে ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ খেলা হলেও, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের লড়াই হয়নি তাদের।
দুই দেশের লড়াই নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী ক্লেয়ার কনোর বলেন, ” দীর্ঘদিন পর আবারো বাংলাদেশের মাটিতে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, এটা দারুণ ব্যাপার। আশা করি, বাংলাদেশে চমৎকার ক্রিকেটীয় পরিবেশের সৃষ্টি হবে। ওখানের সব মানুষ খেলাপাগল। তবে ঘরের মাঠে টাইগারদের বিপক্ষে একটি চ্যালেঞ্জ। তারা সেখানে ভালো দল। “
এদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পা রাখার পর, দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে সফরকারীরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। যদিও ম্যাচগুলো কোন মাঠে হবে তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বরাবরেই মতো বিসিবি একাডেমী মাঠেই সফরকারীদের গা গরম করার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে পারে।