মেহেদি হাসান মিরাজ, টিম বাংলাদেশে এসেছিলেন পুরোদস্তর বোলার হিসেবে। অথচ বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই সহজাত অলরাউন্ডার তিনি। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে নিয়মিত পালন করে যাচ্ছেন বোলিংয়ের দায়িত্ব। ব্যাট হাতে কিছু রান করতে দেখা যেত কালেভদ্রে। তবে সেই ” কালেভদ্রে ” শব্দটা এখন আর মিরাজের সঙ্গে যেন যায় না।
ব্যাট হাতেও এখন রান পাচ্ছেন এই তরুণ। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাট হাতে যেন সংহার মূর্তি ধারন করেছেন তিনি। এরপর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঘুরেফিরে আসছে প্রশ্নটি, মিরাজ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন কিভাবে?
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নতুন এক মিরাজের দেখা মিলছে । মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেখানে সাকিব আল হাসানরা রান করতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়া সৈনিক মিরাজ। প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের নায়কও তিনি। দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে জয়ের বন্দরে নোঙর করান।
অবশ্য মিরাজ জানিয়েছেন এমন পারফরম্যান্সের রহস্য একটাই, কঠোর পরিশ্রম। ক্রিকেট মেধা আর একাগ্রতাই তার সাফল্যের মূল রহস্য বলেও মনে করেন তিনি। টাইগার অলরাউন্ডার এক সাক্ষাৎকারে বলেন ” গত কয়েক বছরে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার দুর্বল জায়গাগুলোতে ফোকাস দিয়ে কাজ করেছি। কোচের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করেছি, কিভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করা যায়। সতীর্থরাও আমাকে সাহায্য করেছে। “
মিরাজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা হয় টেস্ট দিয়ে। সাদা পোশাকে কার্যকরী বোলিং করেই জায়গা করে নেন ওয়ানডে দলে। রঙিন পোশাকে তার পারফরম্যান্সও বেশ রঙিন। তবে টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা সুযোগ মেলেনি তার। বরাবরই টেস্ট ও ওয়ানডে দলে টাইগারদের নিয়মিত সদস্য মিরাজ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিন সংস্করণের দেখা মিলছে তার। এমনকি বেশ কার্যকরও হচ্ছেন মাঠের ২২ গজে।
মিরাজের এমন উড়ন্ত পারফরম্যান্সে লাভটা বাংলাদেশেরই। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সময় ফুরিয়ে আসছে। সাকিবরা হয়তো আর বেশি দিন সার্ভিস দেবেন না। এরমধ্যে মিরাজের মতো ক্রিকেটার তৈরি হয়ে যাওয়াটা, টাইগার ক্রিকেটকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও জানালেন, এই অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডারের প্রতি খুব খুশি তিনি।