এগিয়েছে সময়, এগিয়েছে যুগ। আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়েছে প্রযুক্তিও। বর্তমান যুগ প্রযুক্তি নির্ভর। মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বড় বড় সংস্থার নিরাপত্তাও এখন এই প্রযুক্তির হাতে। কাজকে আরও সহজ করতে বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানের সব কাজ এখন প্রযুক্তিনির্ভর অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তবে ইতিবাচক দিকের সঙ্গে নেতিবাচক দিকও আছে এই প্রযুক্তির। এবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি পড়ল অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে। বিষয়টি জানা যায় ক্রিকবাজ সূত্রে।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি এবার অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছে। আইসিসির হিসাব বিভাগ হঠাৎ করে লক্ষ্য করে তাদের ২৫ কোটি টাকার হিসাবে গড়মিল হচ্ছে। এরপর জানা যায়, অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছে খোদ আইসিসি। প্রতারণার শিকার হয়ে ২৫ কোটি টাকার হিসাবে গড়মিল হচ্ছে সংস্থাটির। যদিও এ বিষয়ে আইসিসি এখনও মুখ খোলেনি।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ সূত্রে জানা যায়, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে সম্প্রতি। তবে আইসিসির হিসাব বিভাগের কোনো কর্তাদের থেকে কোনো মন্তব্য শোনা যায়নি। তবে জানা যায়, ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। আর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যুকরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে যুক্ত। আইসিসির অর্থ বিভাগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে তারা এই ২৫ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে।
আইসিসির প্রধান কর্মকর্তাও ( সিএফও ) এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তদন্ত শুরু করার পর জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেই প্রতিষ্ঠানটি একবারে আইসিসির ২৫ কোটি অর্থ সরিয়ে নেয়নি। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে, দফায় দফায় এই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও শুরু করেছে আইসিসি। ব্যাপারটি গণমাধ্যম সূত্রে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় ক্রিকেট বিশ্বে ।
অনলাইন প্রতারণার শিকার হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, তবে আইসিসির মতো এত বড় প্রতিষ্ঠান প্রতারণার শিকার হওয়ার ব্যাপারটি অবাক করেছে অনেকেই । আর তাই নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি। যদিও টাকার অঙ্কটা আইসিসির জন্য খুব বেশি নয়, তবে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি এখানে মুখ্য বিষয়। আর আইসিসির জন্য এটি কম অর্থ হলেও আইসিসির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দেশের জন্য এই অর্থ অনেক বেশি। তাদের মধ্যে নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া অন্যতম। এসব দেশ এক বছরে আইসিসির থেকে এই পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।